আজ শনিবার, ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অমর একুশে বই মেলার চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি

অমর একুশে বই

অমর একুশে বই মেলার চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতিঅমর একুশে বইনবকুমার:

বই মেলা এখন পরিণত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসবে। পৃথিবীর বহু দেশে মেলা হয়, কিন্তু এতটা আবেগ আর কোনো মেলাকেই স্পর্শ করে না। শুধু তাই নয়, আয়োজন মাসব্যাপী হওয়ায় এই বইমেলাই দীর্ঘতম বইমেলা।

আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। অপেক্ষার প্রহর কদাচিৎ মধুর-তিক্ত দুটোই হয়ে থাকে। তবে বইমেলার ক্ষেত্রে অপেক্ষাটা মধুরই হয়। বইপ্রেমীরা মধুর স্বাদ পেতে প্রতীক্ষায় থাকেন মাসব্যাপী এই গ্রন্থমেলার। এই মেলা লেখক-পাঠক-প্রকাশকের মিলনমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ তো বটেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও ফেব্রুয়ারি মাসে বইপ্রেমীদের পদচারণে মুখরিত থাকবে। যারা নিয়মিত বই পড়েন না তারাও অন্তত একবারের জন্য হলেও খোঁজ নিতে আসেন নতুন কোনো বই এসেছে কি না। বইমেলা শুধু বইয়ের প্রচার কিংবা বিক্রি নয়,

মেলা সামনে রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে প্রস্তুতি। শিল্পী আর কারিগররা ব্যস্ত স্টল সাজানোর কাজে। এবারের বইমেলায় প্রায় সাড়ে পাঁচ’শ স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানালেন আয়োজকরা। এখন অপেক্ষা, নতুন বই আর আগ্রহী পাঠকের সম্মিলনে মেলা প্রাঙ্গণ জমে ওঠার।

অমর একুশে বইমেলা সামনে রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এখন সাজ সাজ রব। মাঠজুড়ে স্টল সজ্জার সামগ্রী। ব্যস্ত কারিগরদের কেউ বোর্ড সাজাচ্ছেন, কেউ রং করছেন আবার কেউবা হাতে হাতে কাজ এগিয়ে দিচ্ছেন। কর্মীরা জানালেন বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে স্টল নির্মাণের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ।

ইউনিট, প্যাভিলিয়নসহ অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ায় এবারের মেলায় বাংলা একাডেমিসহ বাড়ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিসর। এবারের এই প্রাণের মেলা বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রতি বছরের তুলনায় এবার পাঠক সমাগম বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকরুচির কথা মাথায় রেখেই বইয়ের স্টলগুলো সাজানো হচ্ছে বলে জানালেন প্রকাশকরা। প্রতি বছরের মতো এবারো রয়েছে নতুন অনেক বই আসার অপেক্ষা।

মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রয়েছে সিসি ক্যামেরা ও চেক পোস্টসহ আনুসাঙ্গিক অন্যান্য আয়োজন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জানালেন, এবার সাড়ে পাঁচশ’র মতো স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।বিষয় বৈচিত্র্য আর বর্ণিল প্রচ্ছদের মনোলোভা গ্রন্থ আর তার ঘ্রাণ নিতে এখন অপেক্ষার প্রহর গোনা।

অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড.জালাল আহমেদ বলেন, ‘অমর একুশের বই মেলার পরিধি যত বাড়বেই, বই মেলার যে বার্তা অসাম্প্রদায়িকতায় সেটা আরো বেশি শক্তিশালী হবে।’

এ বছর শুধুমাত্র অমর একুশে গ্রন্থমেলা নয়, একই সঙ্গে বড় আকারে হতে চলেছে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ